রাজধানীর খামারবাড়িতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফল মেলা ২০২২ এর সময় দু’দিন বাড়ানো হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে শনিবার (১৮ জুন) সমাপনী অনুষ্ঠান হলেও গত দুইদিন বৈরী আবহাওয়ার কারনে দু’দিন সময় বাড়িছে মেলা কর্তৃপক্ষ। সে হিসেবে সোমবার মেলার শেষ দিন। এবারের মেলায় তৃতীয় দিন শেষে প্রায় ৮৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি হয়। যা গতবার (২০১৯) এর চেয়ে ৫লাখ টাকা বেশি। রাজধানীর ফার্মগেটস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) থ্রি-ডি হলে সমাপনী অনুষ্ঠানে মেলায় অংশগ্রহণকারীদের পুরষ্কার প্রদান করে কৃষি মন্ত্রণালয়।
ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনীতে অংশগ্রহনকারী সরকারি-বেসরকারি স্টল ও শ্রেষ্ঠ ফল চাষীকে পুরষ্কৃত করা হয়। আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম, কলাসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন বাহারি ফল ও প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)। এছাড়া সরকারি পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট (বারি) ও তৃতীয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর (ড্যাম)। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম হয়েছে আগোরা লিমিটেড, দ্বিতীয় আকাশ ফল বিতান এন্ড নার্সারি ও তৃতীয় হয়েছে সুবার্তা শোস্যাল এন্টারপ্রাইজ। শ্রেষ্ঠ ফল চাষীর পুরস্কার অর্জন করছে চাপাইনবাবগঞ্জের মো. রফিকুল ইসলাম। পুরস্কার অর্জনকারী সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বেনজীর আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. সাইফুল ইসলাম।
মেলায় সরকারি ৬টি ও বেসরকারি ৬১টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৮৫টি স্টলে বিভিন্ন জাতের ফল প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে’ প্রতিপাদ্যে শুরু হয় এ মেলা। সকালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরে মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।